কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কনকনে শীত ও ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষিশ্রমিকেরা। এ অবস্থায় আমন ধান কাটা-মাড়াই চললেও কনকনে ঠান্ডায় শ্রমিকেরা ঠিকমতো মাঠে কাজ করতে পারছেন না।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলতিপাড়া গ্রামের কৃষিশ্রমিক মন্টু মিয়া বলেন, ‘এত ঠান্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে ওঠে নাই। আর আমরা কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। ধান কাটতে গিয়ে হাত-পা বরফ হয়ে যায়, কী আর করার, কাজ না করলে যে সংসার চলবে না।’
সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকার মিনা বেগম বলেন, ‘আজ থেকে খুবই ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে। কনকনে শীতের কারণে বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোববার কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২০ তারিখের পর তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।’