গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তারার বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে মামলা করেছে বন বিভাগ। আজ সোমবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন গাইবান্ধা সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম শরিফুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুপতলা ইউনিয়নের রেলক্রসিং থেকে গোডাউন বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে প্রায় ৫ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছ ছিল। বন বিভাগের উদ্যোগে স্থানীয় সুবিধাভোগীদের নিয়ে ২০১০ / ১১ সালে গাছগুলো রোপণ করা হয়। গতকাল রোববার বন বিভাগ জানতে পারে রাস্তার দুই পাশের ১৫টি গাছ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শুক্রবার চুরি করে কেটে নিয়ে যান। গাছগুলোর মূল্য লক্ষাধিক টাকা।
গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরে গাইবান্ধা সামাজিক বনায়ন নার্সারির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এর সত্যতা পান। পরে তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ও কুপতলা গ্রামের শফিউল ইসলামের ছেলে খালেক মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী এ এইচ এম শরিফুল ইসলাম বলেন, ১২ বছর আগে ওই এলাকার ৩০ জন সুবিধাভোগীদের নিয়ে গাছগুলো রোপণ করা হয়। নিয়ম বহির্ভূতভাবে সেই গাছগুলো কেটে বিক্রি করা হয়েছে। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া তারা রাস্তার দুই ধারের গাছ কাটতে পারে না। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া তারা রাস্তার দুই ধারের গাছ কাটতে পারে না।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বন বিভাগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।