রংপুরের মিঠাপুকুরে হাঁড়িভাঙা আমের দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা আমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও পাকা আমে কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান ঈদের পর ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে পাঠানোর কারণে দাম বাড়ছে।
মিঠাপুকুর উপজেলার সর্বত্র এই আম উৎপাদন হয় না। ১৭ ইউনিয়নের মধ্যে খোড়াগাছ ও ময়েনপুর ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে হাঁড়িভাঙার আম চাষ হচ্ছে। জুন মাসের ১০ তারিখ থেকে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচা আমের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও পাকা আম প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বেচাকেনা হয়েছে।
বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের কেনাকাটা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় হাঁড়িভাঙা আম বেচাকেনা কম হয়েছে। ঈদের পর ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে পাঠানোর কারণে বর্তমানে কাঁচা আম দ্বিগুণ দামে বেচাকেনা হচ্ছে।
উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বলেন, তিনি আমের বাগান কিনে লোকসানের আশঙ্কা করেছিলেন। কারণ, প্রতি কেজি আম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করে মুনাফা হচ্ছিল না। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে বর্তমানে ভালো দরে বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা আম ৫০ থেকে ৬৫ টাকা ও পাকা ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দু-এক দিন পর দাম আরও বাড়তে পারে।
হাঁড়িভাঙা আম চাষি পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালাম সরকার বলেন, ঈদের পর চাহিদা বেড়েছে। বর্তমান দরে বেচাকেনা হলে চাষি ও ব্যবসায়ীরা মুনাফা করতে পারবেন।
খোড়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, হাঁড়িভাঙা আমের রাজধানী খ্যাত পদাগঞ্জ বাজারে বেচাকেনা বেড়েছে। বিভিন্ন জেলা শহর থেকেও ব্যবসায়ীরা এসে আম নিয়ে যাচ্ছেন।