হোম > সারা দেশ > রংপুর

গঙ্গাচড়ায় তিস্তার পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙন

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি

‘কয়েক দিন থাকি সরকারি লোকক খরব দিয়া পাঠাইচোল একনা কায়ও ভুল করিয়াও ভুলকি মারিবার আসিল না বাহে। আজ ৭ দিন থাকি মরণের তিস্তার ভাঙন শুরু হইছে। কেনো মেম্বার বা চেয়ারম্যান যদি আসি দেখিল হায়। বাড়ি ভাঙি বাঁধের ধারত ফ্যালে থুছি সরকারের কেনো একটা জনপ্রাণীও আসিল না দেখিবার, দ্যাশত থাকি কি সরকারি লোকজন চলি গেইছে?’ 

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চর ইচলি গ্রামের বাসিন্দা দুদু মিয়া। তিস্তার ভাঙন হুমকিতে ঘর-বাড়ি সাড়িয়ে নিয়ে রাস্তার ধারে থাকেন তিনি। 

গঙ্গাচড়ায় আবারও তিস্তা নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। তিস্তায় পানি কম থাকলেও গত এক সপ্তাহে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ৪টি পরিবারের ঘর-বাড়ি ও কয়েক শত একর ফসলি জমি। চলতি বর্ষা মৌসুমেই এবারে তিস্তা এগিয়ে এসেছে লালমনিরহাটের কাকিনা ও রংপুর অঞ্চলের যোগাযোগ সড়কের হাফ কিলোমিটার কাছে। 

স্থানীয়রা বলছেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলেই আঘাত হানতে পারে প্রধান সড়কটিতে। এতে তিন গ্রামের ১ হাজার ৫০০ পরিবারসহ ক্ষতি হতে পারে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত গঙ্গাচড়া মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুটিরও। 

আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গঙ্গাচড়া মহিপুর শেখ হাসিনা সেতুর পশ্চিম পাশের সেতু রক্ষা বাঁধের মোকা থেকে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের পূর্ব ইচলিগ্রাম পর্যন্ত তিস্তার তীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিনেই তিস্তার গর্ভে বিলীন হচ্ছে মানুষের শত শত একর ফসলি জমি। 

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোন্নাফ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রায় ১০-১২ দিন থেকে ইউএনও স্যারকে ফোন করে জানাচ্ছি কিন্তু উনি লোক পাঠাতে চেও কেনো লোক পাঠায়নি। কয়েক দিনে আগেও তিস্তা নদীর ভাঙন আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূরে ছিল, এই কয়েক দিনেই ভাঙতে ভাঙতে আমাদের বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে। এখন প্রধান সড়ক থেকে মাত্র হাফ কিলোমিটার কাছেই চলে এসেছে তিস্তা। উজানে বৃষ্টি হলেই তিস্তা চলে এসে আঘাত হানবে মেইন সড়কে।’ 

একই গ্রামের বাসিন্দা তিস্তার ভাঙনে ভিটামাটি বিলীন হওয়া আলিমুদ্দিন বলেন, ‘কয়েক দিনের ভাঙনে বিলীন হয়া গেল বাহে। বাড়ি ভাঙিল ভাঙিল ফসলি জমিগুলাও ভাঙি গেল। সরকারি কেনো লোকজনের দেখা না পেয়া নিজে নিজেই হামরাগুলা গাছ, বাঁশ কাটি ফ্যালে দিয়া ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু কেনো কাজ হয় চোল না।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনে ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়েছিলাম। আমি কালকে নিজেই যাব, সরেজমিনে গিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষদের জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।’

বাক্সবন্দী লাখ লাখ টাকার যন্ত্র

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধাক্কা খেয়েছে জনগণের প্রত্যাশা: নুর

লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

মানুষের কষ্টের আগুনে পেট্রল ঢেলেছে সরকার: নুরুল হক

দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিশের ফায়ারিং রিহার্সাল, বাড়িতে গুলিবিদ্ধ কিশোরী

ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মহোৎসব

গাইবান্ধায় দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল ইউপি সদস্যের

পঞ্চগড়ের মানুষ চাইলে সারজিস কিংবা কোনো তরুণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন

মিজানুর রহমান আজহারী লালমনিরহাট যাচ্ছেন শনিবার

শুধু একটি ভোটের জন্য এই গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নুরুল হক নুর

সেকশন