পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় ধাক্কা মারা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের দেওয়া ৬ সপ্তাহের জামিন শেষে আজ রোববার দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডলের আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন— আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া এলাকার মোছা. ইয়াসমিন (২১), একই ইউনিয়নের নলপুকুরী গ্রামের মৌসুমী আক্তার (২৮), ইয়াসমিনের স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল (২৮) এবং ভাই সাইদুর রহমান (২৪)। তাঁরা জামিনে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল হান্নান।
মামলার এজহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর পঞ্চগড়ে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় ইয়াসমিন এবং মৌসুমী উত্তীর্ণ হন। নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা ২৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসে। কিন্তু তাঁদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পায়। একপর্যায়ে তাঁদের লিখতে দেওয়া হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাঁদের হাতের লেখার মিল না থাকায় নিয়োগ বোর্ডের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা স্বীকার করেন তাঁদের হয়ে অন্য কেউ লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন।
এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁর ভাই সাইদুর রহমান এবং স্বামী এএইচআর মাসুদ রয়েল লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পাস করানোর কথা নিয়োগ বোর্ডের কাছে স্বীকার করেন।
পরে কর্তৃপক্ষ ভাইভা বোর্ডে কৌশলে সাইদুর এবং মাসুদ রয়েলকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইয়াসমিনের চাকরির জন্য পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলালের সঙ্গে ১২ লাখ টাকার চুক্তি হয়। তিনিই সব ব্যবস্থা করেছেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দুলালসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন।