পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগাছায় যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে আন্তনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনকে আটকে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে হাজার হাজার মানুষ। ৪০ মিনিট পরে ট্রেনটিকে ছেড়ে দেয় তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পীরগাছা রেলস্টেশন অতিক্রমের সময় এ ঘটনা ঘটে।
পরে ওই সমাবেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে, লালমনিরহাটের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম স্থানীয়দের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘পীরগাছা স্টেশনে এই ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমার কাছে মতামত চাইলে আমি এই স্টেশনে যাত্রাবিরতির বিষয়ে সুপারিশ করব।’
রেলওয়ের ওই কর্মকর্তার আশ্বাসে প্রায় ৪০ মিনিট পর ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে যত দিন পর্যন্ত যাত্রাবিরতির দাবি আদায় না হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও রাত ১০টায় রেলপথ অবরোধ করে ন্যূনতম তিন মিনিট ট্রেনটিকে ওই স্টেশনে থামিয়ে রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশনে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে সন্ধ্যা থেকে পীরগাছা রেলস্টেশন চত্বরে দলে দলে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ জমায়েত হতে থাকে। রাত সাড়ে ৯টা থেকে নাগরিক ব্যানারে সভা-সমাবেশ চলতে থাকে। এ সময় বক্তব্য দেন তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, উপজেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম রাঙা, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আফছার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান রেজাসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, শনিবার ৯ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখার উপপরিচালক (টিটি) মো. শওকত জামিল মোহসী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশপত্রে ট্রেনটি ১২ মার্চ থেকে উদ্বোধন করা হবে বলে জানানো হয়। তবে, ট্রেনটির সময়সূচি ও প্রস্তাবনায় রংপুরের পীরগাছা রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি না রাখায় গত ৪ দিন ধরে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাজ করছে। এরই ফলে স্থানীয় জনগণ ট্রেনটিকে অবরুদ্ধ করে যাত্রাবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।