বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ধীরগতিতে চলছে দিনাজপুরের বিরল-বোচাগঞ্জ সড়ক উন্নয়নকাজ। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় ও ধুলোবালুতে অতিষ্ঠ পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ছাড়া প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ থেকে বিরল উপজেলা ও দিনাজপুর হয়ে পার্বতীপুর বাজার এলাকা পর্যন্ত রিইনফোর্সড সিমেন্ট কংক্রিটের (আরসিসি) ঢালাই সড়ক নির্মাণকাজ গত ২৮ জানুয়ারি শুরু হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগের কার্পেটিং তুলে একপাশ থেকে ১২ ফুট সড়কের ঢালাইকাজ শুরু করে। অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য সড়ক ফাঁকা রাখা হয়। এ ছাড়া সড়কটি আগেই খুঁড়ে রাখার কারণে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের ধুলোবালুতে পথচারীসহ আশপাশের বিভিন্ন দোকান ও বাড়ির বাসিন্দারা চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ, ঠিকাদার সড়কের উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে করায় মানুষের এই দুর্ভোগ হচ্ছে। বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা জানান, তাঁরা সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালালেও মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। সড়কের মাঝখানে ঢালাই করা অংশে ১০ ইঞ্চি রড উন্মুক্ত রাখায় বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী ও পথচারীদের কাপড় আটকে দুর্ঘটনা ঘটছে।
গত ১৪ এপ্রিল ঝাড়বাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢালাই সড়কে উঠতে গিয়ে মোটরসাইকেলের চালক মাসুদ রানা এবং তাঁর বোন মাসুমা খাতুন ও ভাগনি তাইনুর আহত হন। এ ছাড়া এই সড়কে বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন।
দিনমজুর মুরাদ হোসেন রাজু জানান, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসায় প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ খরচ হয়। এখনো তাঁরা সুস্থ হয়ে ওঠেননি।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু সড়কটির ঢালাইকাজ একসঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় চলছে, সেহেতু আমরা পর্যায়ক্রমে কাজ শেষ করছি। পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেই বিরল-সেতাবগঞ্জের সড়কের অবশিষ্ট কাজ শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।’
সড়কে ধুলোবালুর কারণে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয়ে রইছ উদ্দিন বলেন, ‘ধুলো কমানোর জন্য প্রতিদিন সড়কে গাড়ি দিয়ে পানি দেওয়া হচ্ছে।’