পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমবাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কসংলগ্ন পীরগঞ্জ পৌরসভার উজিরপুরে প্রধানমন্ত্রীর আমবাগানটি অবস্থিত। প্রধানমন্ত্রীর আমবাগানটি পরিচর্যা করে আসছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুরবাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে। কয়েক বছর আগে পীরগঞ্জ পৌরসভার উজিরপুর গ্রামে মহাসড়কের সঙ্গে ১ একর ৫৬ শতাংশ জমি প্রধানমন্ত্রী এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে কেনা হয়। ওই জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে হাঁড়িভাঙা, বারি-৪ জাতের ১২০টি আমের চারা লাগানো হয়েছিল বাগানটিতে। প্রতিটি গাছে ব্যাপক আম ধরেছে।
প্রধানমন্ত্রীর নাতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহিদুল ইসলাম পিন্টু জমিটি ক্রয়ে সহযোগিতা করেন। পিন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি পীরগঞ্জে হলেও তাঁর নামে মাত্র ৫০ শতাংশ জমি রয়েছে। তাঁর চেয়ে জয় আর পুতুলের নামেই বেশি জমি রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাগানটির খবর প্রায়ই নেন বলে পিন্টু জানান।
পিন্টু জানান, এ বছর অন্য বছরের তুলনায় ৩ গুণ আম ধরেছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে আম বিতরণের পাশাপাশি বিক্রিও করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভাশুরপুত্র এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল বলেন, ‘প্রয়াত পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া (প্রধানমন্ত্রীর স্বামী) পৈতৃক সূত্রে প্রায় ২০ একর জমির অংশীদারত্ব পান। ওই জমিতে আবাদকৃত ফসলের টাকায় মহাসড়কটির উল্লেখিত স্থানে ১ একর ৫৬ শতাংশ জমি ক্রয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর নামে কবলা দলিল করা হয়েছে। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার জমির ফসল বিক্রির টাকায় মহাসড়কসংলগ্ন লালদীঘি নামক স্থানে আরও প্রায় ৪ একর জমি ক্রয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে কবলা দলিল করে দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আমবাগানটির জন্য কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে আসছে। কৃষি বিভাগের লোকজন সব সময়ই দেখভাল করছেন বাগানটির। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার সবগুলো বাগানেই আমের ভালো ফলন হয়েছে।’