কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে থাকলেও ভোগান্তি কমেনি মানুষের। উপজেলার ৬ ইউনিয়নে প্রায় ৮২ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমার তথ্য আজকের পত্রিকা নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে গত ৪৮ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। তবে কমার হার এই ধীরগতি।’
চিলমারীর বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ৮২ হাজার মানুষ পানিবন্দী আছেন। এর মধ্যে থানাহাট ইউনিয়নে ৮ হাজার, নয়ারহাট ১৮ হাজার, রমনা মডেল ১৬ হাজার, অষ্টমীর চর ১২ হাজার, রাণীগঞ্জ ২০ হাজার ও চিলমারী ইউনিয়নে পানিবন্দী আছেন ৮ হাজার মানুষ।
উপজেলার ১১ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন প্রায় ১ হাজার মানুষ। ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে বিভিন্ন এলাকায় ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে অনেক পুকুরের মাছ।
সরেজমিন জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে নৌকায় ও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন ভুক্তভোগী মানুষ। এসব মানুষ খাবার ও পয়োনিষ্কাশন সমস্যায় ভুগছেন। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা বানভাসি মানুষের।
রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ এলাকার শামছুল হক বলেন, ‘দিন আনি দিন খাই। এখন আর কাজ নাই ঘরত পানি রাস্তা তলে গেইছে। কই যাই কোনো রকমে ছাও পাওয়া নিয়ে খায়া না খায়া আছি।’
রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম আশেক আঁকা বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ১৬ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। বরাদ্দ পেয়েছি ৫ টন চাল, যা আমার ইউনিয়নে অপ্রতুল।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন। আরও ত্রাণের চাহিদা জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন তিনি।