দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে নিখোঁজের দুদিন পর বন্ধুর বাড়ি থেকে এক স্কুলছাত্রের হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার মধ্য রাতে নাফানগর ইউনিয়নের টেনা গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ার লাইছুর রহমানের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম মো. সাকিব হাসান (১৭)। সে বোচাগঞ্জ উপজেলার একই ইউনিয়নের নাফানগর উত্তর পাড়া গ্রামের মো. মমিনুল ইসলামের ছেলে। সাকিব দৌলতপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাকিব ও মিরাজুল ইসলাম মিরাজ দুজনে বন্ধু। পাশাপাশি গ্রামে বাড়ি। টেনা গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ায় স্থানীয় লোকজন গরমের কারণে বাড়ি থেকে বাতাস খেতে বের হলে লোকজন পচা গন্ধ পায়। গন্ধ কোন দিকে থেকে আসছে তা জানার চেষ্টা করে। পরে তারা নিশ্চিত হয় লাইছুর রহমানের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসছে।
বিষয়টি তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ পারভেজকে জানান। চেয়ারম্যান রাতেই বিষয়টি পুলিশকে জানায়। সাড়ে ৩টার দিকে লাইছুর রহমানের বাড়ি তল্লাশি চালালে তাঁর ছেলে মিরাজের (২০) ঘর থেকে লাশের পচা গন্ধ পায়। ঘরে প্রবেশ করে সাকিবের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় লাশের হাত কাপড় দিয়ে ও পা চিকন তার দিয়ে বাঁধা ছিল। মিরাজের বাড়ির পাশে নতুন একটি গর্ত পাওয়া গেছে।
পুলিশের ধারণা, লাশ পুতে ফেলার জন্য এই গর্ত খোঁড়া হয়েছে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে রাতেই মিরাজ পালিয়ে যায়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন মিরাজের বাবা।
নিহতের চাচা জাফরুল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে ক্রিকেট খেলার কথা বলে সাকিব বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। স্বজনের বাড়ি বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধারের খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা লাশ শনাক্ত করি।’
বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, লাশ অর্ধগলিত ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। পুলিশ অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।