ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দেশের সেরা লিচু মানেই দিনাজপুরের লিচু। এই জেলার লিচু বেশ রসাল ও সুস্বাদু। জেলার ১৩টি উপজেলাতেই কমবেশি লিচুর চাষ হয়ে থাকে। বর্তমানে জেলায় জমে উঠেছে লিচুর বাজার। ফুলবাড়ী বাজারেও নানা জাতের লিচু উঠেছে। কিন্তু দাম আকাশছোঁয়া। ফলে সাধারণ ক্রেতারা ধারেকাছে ভিড়তে পারছেন না। বাজারে ১০০ চায়না-থ্রি জাতের লিচুর দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা! অর্থাৎ একটি লিচুর দাম ১৪ টাকা। যা এক মণ ধানের দামের চেয়েও বেশি।
আজ সোমবার ফুলবাড়ী পৌর বাজারে প্রতি মণ মোটা ধান ৯০০ টাকা এবং চিকন ধান প্রতি মণ ১ হাজার ২০০ টাকা।
শহরের মৌসুমি ফল বিক্রেতা স্বপন ও হেলাল বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর বাগান চুক্তিতে কিনে পরিচর্যা করি। তারপর সেখান থেকে ফল পেড়ে এনে বিক্রি করি। এ বছর অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে লিচুর ফলন কম, তাই দামও বেশি। তাই ১০০টি বোম্বাই মাদ্রাজি লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়, আর চায়না-থ্রি, গোলাপি লিচু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়।’
তাঁরা আরও বলেন, লিচুর সময় শেষ হয়ে আসছে। এই বছর ফলন কম এবং সিজন শেষ হয়ে আসাতে লিচুর দাম এখন বাড়তির দিকে।
আজ ফুলবাড়ী পৌর বাজারের নিমতলা মোড়ে কথা হয় লিচু কিনতে আসা রেজওয়ানুল করিম ও গৃহবধূ শামিমা পারভিনের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘বাচ্চাদের আবদারে বাজারে লিচু কিনতে এসে যে দাম দেখছি, তাতে সামান্য লিচু কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। এখন লিচুর মৌসুম, এখন এই ফল না খাওয়ালে কেমন হয়; তাই অল্প করে কিনলাম।’
এ সময় কথা হয় উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের সরস্বতীপুর গ্রামের মোমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজারে ধান বিক্রি করতে আসছিলাম। মোটা ধান বিক্রি করলাম ১৮০০ টাকা বস্তা হিসেবে (দুই মণে এক বস্তা)। বাড়ির ছেলে-মেয়েদের জন্য মৌসুমি ফল লিচু কিনতে এসে আক্কেলগুড়ুম অবস্থা। কারণ, ভালো লিচু কিনতে গেলে এক হাজার টাকার নিচে হবে না। তাই চাহিদা মাফিক লিচু না কিনে অল্প কিছু লিচু নিয়ে বাড়ি ফিরছি।’