নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমারে বামুনিয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
বিষয়টি স্বীকার করে ইউএনও মো. নাজমুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ডিজি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্তের প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করা হয়েছে।’
প্রতিবেদন মতে, নিয়ম লঙ্ঘন করে ওই নিয়োগ পরীক্ষায় জেলা প্রশাসকের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। একাধিক জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, প্রার্থীর উপস্থিতি, পরীক্ষার খাতা ও নম্বরপত্র যাচাই করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর সঙ্গে ডামি প্রার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থ লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।
অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ও ২৩ জানুয়ারি বিদ্যালয়টির কম্পিউটার ল্যাব-অপারেটর, অফিস সহায়ক, আয়া ও ঝাড়ুদার একজন করে চারটি পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রনজিৎ অধিকারী দিলীপ, প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম, ডিজি প্রতিনিধি ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানা বিলকিস বানু যোগসাজশে ৬০ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে গোপনে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৮ জানুয়ারি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ ও বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. আলী হোসেন জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি তদন্তের জন্য ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল আলমকে নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ তদন্তের জন্য দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন–উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। কমিটি ১৮ মার্চ থেকে তদন্ত শুরু করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দাখিল করেন।