সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী। নবম ও দশম শ্রেণিতে দুই বছর অধ্যয়ন শেষে নির্বাচনী পরীক্ষায় পাস করে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে গিয়ে জানল সে জেএসসিতে ফেল করেছে। তাই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হবে না তার।
মোসাদ্দেক ওই ইউনিয়নের কাঠারিপাড়ার জামিল উদ্দীনের ছেলে। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসহায় দরিদ্র পরিবারটি।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা জামিল উদ্দীন জানান, তাঁর ছেলে মোসাদ্দেক আলীকে ওই স্কুলের অফিস সহকারী নবম শ্রেণিতে ভর্তি করান। কয়েক দিন আগে এসএসসির ফরম পূরণের সময় স্কুল থেকে জানানো হয় সে পরীক্ষা দিতে পারবে না। কারণ অষ্টম শ্রেণিতে জেএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে সে ফেল করেছিল।
জামিল উদ্দীন বলেন, কয়েক দিন আগে স্কুলের কেরানি (অফিস সহকারী) মো. রাসেদুল ইসলাম বোর্ডে সামান্য ভুল আছে তা শোধরানোর জন্য এক হাজার টাকা চেয়ে নেন আমার কাছে। এখন বলছে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাঁরা বলছে এত দিন যা খরচ হয়েছে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তারা কি আমার ছেলের বিগত সময়গুলো ফিরিয়ে দিতে পারবে?
বিদ্যালয়য়টির অফিস সহকারী রাসেদুল ইসলাম বলেন, যা করেছি প্রধান শিক্ষক মৃত মোখলেছুর রহমানের নির্দেশেই করেছি। ভুল হয়ে থাকলে তা প্রধান শিক্ষকের। এ ক্ষেত্রে আমার কোনো দোষ নাই।
সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেহানা ইয়াসমিন মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। অফিস সহকারী যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।