আমদানি কমের অজুহাতে আবারও একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ৩ টাকা করে। আজ সোমবার বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে, যা একদিন আগেই ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে নগর জাতের পেঁয়াজ ৩৬ টাকা বিক্রি হলেও তা বেড়ে এখন ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কয়েক দিন দাম কম থাকার পরে আবারও দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মুজাম্মেল হোসেন বলেন, মূলত বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমে যাওয়ার কারণেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তবে তা আগামী দু-এক দিনের মধ্যে অর্থাৎ এ সপ্তাহের শেষের দিকে বন্দর দিয়ে আবারও পেঁয়াজের আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এর কারণ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব কালীপূজার কারণে ভারতের পেঁয়াজের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের লোডিং ৪ দিন বন্ধ ছিল।
বন্ধের আগে যেসব ট্রাক লোডিং ছিল বর্তমানে শুধুমাত্র ওই সব পেঁয়াজের ট্রাকগুলোই দেশে আসছে। এর ফলে হিলিসহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আগের তুলনায় কমে আসায় দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের কারণেই দাম বাড়ছে। এরই মধ্যে পূজার বন্ধ শেষে ভারতের মোকামে পেঁয়াজের লোডিং পুনরায় শুরু হয়ে গেছে যেসব পেঁয়াজ আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে বন্দরে প্রবেশ করা শুরু করবে। এ সময় পেঁয়াজের আমদানি আবারও বাড়বে এতে দাম কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও দিন দিন সেই পরিমাণ শুধু কমছে। গত শনিবার বন্দর দিয়ে ৭টি ট্রাকে ১৮২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল সেখানে রবিবার বন্দর দিয়ে ৬টি ট্রাকে ১৫৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস করে নিয়েছেন আমদানিকারকরা। যেখানে এর আগে বন্দর দিয়ে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল।