কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ১৮ মাস পর ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) কার্ড পেয়েছেন সাবানা খাতুন নামের এক নারী। কার্ড পেয়ে সম্প্রতি তিনি দুই মাসের (আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) চাল পেয়েছেন। কিন্তু বিতরণকৃত বিগত ১৮ মাসের চাল ফেরত পাননি। এ ঘটনায় ওই নারী চাল ফেরত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নে। এত দিন ওই কার্ডটির চাল কে বা কারা উত্তোলন করেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
তবে কার্ডটি এই ইউপির ৪, ৫, ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আদুরী আক্তারের স্বামী বিজু মিয়ার কাছ থেকে আগস্ট মাসে উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নারী সাবানা খাতুন। থানাহাট ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাটিথানা পুটিমারী এলাকার ফাইদুল ইসলামের স্ত্রী সাবানা খাতুন। কার্ড পাওয়ার পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের চাল পেয়েছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগ ও সাবানা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কার্ডটি করার জন্য তিনি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আদুরী আক্তারের স্বামী বিজু মিয়াকে প্রায় ১৮ মাস আগে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর বিজু বলেছেন কার্ড হয়নি। পরে বিভিন্ন সময় টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন, যেভাবে হোক একটি কার্ড করে দেবেন।
ভিডব্লিউবি’র তালিকা নিয়ে বিতর্ক থাকায় চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে চাল বিতরণের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। এ সময় সাবানা খাতুনের নামে ভিডব্লিউবি’র কার্ড ইস্যু হয়েছে বলে জানাজানি হয়।
সাবানা খাতুন কার্ড সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সম্প্রতি দুই মাসের চাল পেয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, বিগত ১৮ মাসের চাল ফেরত দিতে হবে।
ভুক্তভোগী সাবানা বলেন, ‘বিজুর কাছে কার্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সাবানা নামের দুইটা কার্ড পাস হইছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় কার্ড দুইটি আটকে রাখছে।’ ’ পরে বিজু মিয়া আমাকে ১৮ মাস পর কার্ড ফেরত দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বামী বিজু মিয়া বলেন, ‘আমি কার্ড দেওয়ার বিনিময়ে কারও কাছে টাকা গ্রহণ করিনি। কার্ডের বিষয়ে আমি জানি না।’
থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, ‘উনি (সাবানা) যে ১৮ মাস থেকে চাল পায়নি এ নিয়ে আমাকে তো কখনো অভিযোগ দেয়নি। আর উনি কীভাবে কার কাছে কার্ড পেলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দিন জানান, এত দিন কার্ডটি কার কাছে ছিল সেটির খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।