কুড়িগ্রামের এক কলেজশিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। আজ সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
হামলার শিকার মোকছেদুর রহমান দুলাল কুড়িগ্রামের ভোগডাঙা মডেল কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। গত শনিবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের যতিনেরহাট বাজারে তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সদর থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক মোকছেদুর রহমান মোটরসাইকেলে চড়ে কুড়িগ্রাম শহর থেকে রাজারহাট উপজেলার ফরকেরহাটে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে যতিনেরহাট এলাকায় পৌঁছালে ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে তাঁর ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিক্ষকের ওপর হামলা ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবারও মানববন্ধন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের শিক্ষক সমাজ।
হামলার শিকার শিক্ষক মোকছেদুর রহমান দুলাল গুরুতর আহত অবস্থায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার মাথাসহ সারা শরীরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষকের স্ত্রী বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে আনিছুর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’