হোম > সারা দেশ > রংপুর

কুড়িগ্রামের চারটি আসনে স্বতন্ত্রে ভর, স্বতন্ত্রেই ভয় আ.লীগের

আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের চারটি আসনের মধ্যে দুটি জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে অসন্তুষ্ট নেতা-কর্মীরা একটি আসনে ভিড় করেছেন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর শিবিরে। বাকি দুই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী থাকলেও স্বস্তি নেই। সেখানে আশঙ্কা তৈরি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

জাপা প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে কুড়িগ্রাম-১ ও ২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই অবস্থায় কুড়িগ্রাম-২ আসনে (সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী) দলের একটি বড় অংশের বিরূপ নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছেন।

এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদকে ছাড় দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী। তবে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকারকে সমর্থন করছে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ।

জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা জানান, প্রায় অস্তিত্বহীন জাপার কারণে জেলায় তাঁদের রাজনীতি বিফলে যাচ্ছে। তা ছাড়া দলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য না হওয়ায় এই আসন উন্নয়নবঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। সাংগঠনিক কার্যক্রমেও প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তাঁরা তাঁদেরই দলের মতাদর্শে বিশ্বাসী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা হামিদুলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আনিছুর রহমান খন্দকার চাঁদ বলেন, ‘এবার নির্বাচনে মহাজোট নেই। কেন্দ্রীয়ভাবে জাপা প্রার্থীর জন্য কাজ করার কোনো নির্দেশনাও নেই। আমরা দলটির প্রার্থীর জন্য কাজ করতে চাই না। কুড়িগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে লাঙ্গলকে না বলুন। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকারের হয়ে কাজ করছি।’

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকার ও তাঁর প্রতীক ট্রাকের প্রচার করছি। কারণ, জাপা প্রার্থীরা জোটের দোহাই দিয়ে বারবার এই আসন নেন ঠিকই, কিন্তু আমাদের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করেন। উন্নয়নের স্বার্থে এবার আমরা জাপা প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করছি।’

কুড়িগ্রাম-৩ ও ৪ আসনে আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন স্বতন্ত্র ও জাপার প্রার্থী। কুড়িগ্রাম-৩ আসনে (উলিপুর) এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আক্কাছ আলী সরকার। ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই চিকিৎসক আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ভোটার মিজানুর বলেন, ‘ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। তবে মানুষের মুখে ট্রাক প্রতীকের কথা বেশি শোনা যায়।’ পৌর এলাকার বাসিন্দা কাজল বলেন, ‘যদি ভোটাররা কেন্দ্রে যান, তাহলে ট্রাক প্রতীকের বিজয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান বঙ্গবাসী (ঈগল) ও জাপা প্রার্থীর (লাঙ্গল) সঙ্গে নৌকার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই আসনে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে হটিয়ে নৌকার বইঠা পাওয়া নতুন প্রার্থী বিপ্লব হাসানের প্রতি জনসমর্থন দিনে দিনে বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে হয়তো শেষ হাসি তিনিই হাসবেন। বিপ্লব বলেন, ‘আমি জনগণের কাছে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

এদিকে কুড়িগ্রাম-১ আসনে (ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী) শক্ত কোনো প্রতিপক্ষ না থাকায় জাপা প্রার্থী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান নির্ভার প্রচার চালাচ্ছেন। তবে এই আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী (গোলাপফুল প্রতীক) আব্দুল হাইয়ের প্রতি ভোটারদের সমর্থন বাড়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জাপা প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্ভার থাকতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভোটাররা।

দেড় কিলোমিটার দূরে পুলিশের ফায়ারিং রিহার্সাল, বাড়িতে গুলিবিদ্ধ কিশোরী

ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির মহোৎসব

গাইবান্ধায় দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে গিয়ে প্রাণ গেল ইউপি সদস্যের

পঞ্চগড়ের মানুষ চাইলে সারজিস কিংবা কোনো তরুণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন

মিজানুর রহমান আজহারী লালমনিরহাট যাচ্ছেন শনিবার

শুধু একটি ভোটের জন্য এই গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নুরুল হক নুর

দিনাজপুরের সাবেক এমপি রেজিনা ইসলাম মারা গেছেন

গোবিন্দগঞ্জে চাঁদার দাবিতে মৎস্য ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

এবার গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেল দিনাজপুরের হাবিপ্রবি

বিএনপি নেতার পাহারায় সরকারি জমিতে অবৈধভাবে পাকাঘর নির্মাণের অভিযোগ

সেকশন