গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যুবলীগের নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম (৩৮) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার সুন্দরগঞ্জ আমলি আদালতে আসামিদের হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো মাহদী হাসান।
আসামিরা হলেন উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের গ্রামের বাসিন্দা মো. সামিউল ইসলাম সামু (৪১) ও পূর্ব রামজীবন গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫)।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যুবলীগ সভাপতি হত্যার ঘটনায় গত সোমবার দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামি সামিউল ইসলাম সামু ও মো. আনায়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার নিহতের বোন আনজুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।’
এর আগে গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম ও কবির মিয়া মোটরসাইকেলে করে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজে পৌঁছালে তাঁদের পথরোধ করে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। তাঁর সঙ্গে থাকা মো. কবির মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন স্থানীয়রা। মো. জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।