পূর্ব আকাশে সূর্য উঠেছে। চারদিকে আলোর ঝলকানি। সকালে বিরামপুর রেলস্টেশনে যেতেই চোখে পড়ে একদল মানুষের জটলা। কাছে গিয়ে কথা হলে তাঁরা জানান, বোরো মৌসুমে ধান পাকতে শুরু করেছে। ধান কাটার জন্য শ্রমিকেরা এই রেলস্টেশন দিয়ে নওগাঁ, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন।
আজ সোমবার সকালে কৃষিশ্রমিকেরা ধান কাটতে যাওয়ার জন্য ভিড় জমান বিরামপুর রেলস্টেশনে। স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ ফুলবাড়ী উপজেলার চিন্তামন গ্রামের আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।
আশরাফুল ইসলাম জানান, বিরামপুর-ফুলবাড়ী এলাকায় বোরো ধান পাকতে এখনো ১৫-২০ দিন সময় আছে। কৃষিশ্রমিকেরা বেকার অবস্থায় রয়েছে। অপর দিকে নাটোর, নওগাঁ, সান্তাহার ও আত্রাই এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এসব এলাকায় একযোগে ধান কাটা শুরু হওয়ায় কৃষিশ্রমিকের সংকটের কথা শুনে তাঁরা ধান কাটার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন। শুধু চিন্তামন গ্রাম থেকে তিনিসহ ৪২ জন শ্রমিক দল বেঁধেছেন।
বিরামপুর থেকে নাটোর ও সান্তাহারগামী রূপসা আন্তনগর ট্রেনে ভিড়ের কারণে উঠতে না পেরে তাঁরা ওই রুটের রকেট মেইল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
আশরাফুল জানান, খবর পেয়েছেন ওই এলাকায় প্রতি বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমির ধান কাটা-মাড়াইয়ে ৩ হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে। সে হিসাবে মজুরি পেলে তাঁরা অনেক লাভবান হবেন।
এই এলাকার এমন অনেক শ্রমিক ধান কাটার জন্য বিভিন্ন জেলায় যেতে এই রেলস্টেশনে এসেছেন বলেও জানান আশরাফুল।