আল মামুন জীবন, বোদা (পঞ্চগড়) থেকে
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি। ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় এ প্রতিবেদন জমা দেন।
আজ সোমবার বিকেলে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আমাদের গঠন করা ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এটি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’
এ ঘটনায় বোদা থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস, পঞ্চগড় জেলা পুলিশ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক আরও ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর সেগুলো বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয় থেকে।’
এদিকে সোমবার সকাল থেকে করতোয়া নদের আউলিয়া ঘাটে নবম দিনের মতো তাঁদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে পঞ্চগড়, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এরই মধ্যে ভোরে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে ফিরে গেছে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে—পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘি গ্রামের বাসিন্দা ধীরেন চন্দ্রের মেয়ে জয়া রানী (৪), বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সুরেন (৩২) ও দেবীগঞ্জ উপজেলার ছত্রশিকারপুর এলাকার ভূপেন্দ্র নাথ বর্মণ (৪০)।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টার দিকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নে অবস্থিত করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক পুণ্যার্থী নিয়ে একটি নৌকা বদ্বেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিল। নৌকাটি নদীর মাঝে গেলে মোড় নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৩০ নারী, ১৮ পুরুষ ও ২১ শিশু। মরদেহগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৪৫ জন, আটোয়ারী উপজেলার দুজন, দেবীগঞ্জ উপজেলার ১৮ জন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার তিনজন এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার একজন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: