রংপুরে রেলস্টেশন এলাকায় অপহৃত চার শিশু উদ্ধারের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনতাইচেষ্টা মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় আদুরী বেগম নামের এক নারী চার শিশুকে রংপুর হারাগাছ তপোধন এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ রংপুর নগরীর রেলস্টেশনসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার শিশুকে উদ্ধারসহ ওই নারীকে আটক করে। এরপর অভিযুক্ত নারীকে থানায় নিয়ে আসতে গেলে দুই থেকে তিন শ লোক রেলস্টেশন ঘেরাও করে পুলিশকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে ফাঁড়িতে গিয়ে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ফাঁড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চার শিশু ও ওই নারীকে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ওই নারীর পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় গত ২৯ মার্চ অপহরণকারী নারী আদুরী বেগমের বিরুদ্ধে মামলাসহ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় মহানগর কোতোয়ালি থানার এসআই কারিবেল হাসান থানায় একটি মামলা করেন। এরপর অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। অভিযানে মামলার এজাহারভুক্ত ২২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মো. রুবেল (৩৪), মো. হৃদয় (২০), শাহ পরান (২৫), জাহিদ হাসান (১৯), সাদ্দাম হোসেন (৩১), সাকিব হোসেন (১৯), শাহাদৎ হোসেন (৩৫), শমসের আলী (৩৫), ইসমাইল হোসেন (৪৫), মনু (২৩), সাজু মিয়া (৩৮), জাবেদ (৮৮), জাহিদ গোল্ডেন (২৪), বাদল মিয়া (১৯), সোহেল (২৫), দুলাল মিয়া (২৭), আফসার আলী (২২), সাঈদ হোসেন (২০), শাহজাহান হোসাইন (২৫), আব্দুল হামিদ হিরা (৮৮), জাবেদ (৩০) ও রেজাউল করিম (৩৭)। তাঁরা নগরীর মুসলিমপাড়া, রংপুরের পীরগাছা ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মহানগর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, রেলস্টেশন এলাকায় অপহৃত শিশু উদ্ধারের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও অপহরণকারী
নারীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।