সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আচরণবিধি না মেনে সরকারি স্থাপনা, বাসাবাড়ির দেয়াল, দোকানের শাটার, বিদ্যুতের খুঁটিতেও প্রার্থীদের পোস্টার লাগানো হয়েছে। এই চিত্র নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার। এ ছাড়া প্রার্থীদের পক্ষে উচ্চ স্বরে মাইকিং, মিছিল, মোটরসাইকেল মহড়াসহ বিভিন্ন ধরনের বিধিবহির্ভূত প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা।
প্রার্থীদের দাবি, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ভুলবশত পোস্টার লাগিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভবন, দেয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার লাগানো নিষেধ। সরকারি স্থাপনায়ও পোস্টার লাগানো যাবে না।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের ফটক এবং দেয়ালে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজমল হোসেন সরকার ও মোস্তফা ফিরোজের পোস্টার লাগানো। এ ছাড়া ইসলামবাগ, রসুলপুর, স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার লাগানো রয়েছে।
এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারে মিছিল নিষিদ্ধ থাকলেও মানছেন না অনেক প্রার্থী। তাঁদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করতে দেখা গেছে। আবার সেই মিছিলের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে দিচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে প্রার্থীদের।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আজমল হোসেন বলেন, পোস্টার লাগানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ভুলবশত লাগিয়েছেন। পোস্টারগুলো তুলে ফেলা হবে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই আলম বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেবেন।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ২১ মে সৈয়দপুরে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।