রংপুরের হারাগাছ থানার বাহার কাছনা এলাকায় মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত এএসআই পেয়ারুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শনিবার সকাল সোয়া ১১টার রংপুর মেডিকেল কলেজ নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এর ইনচার্জ ডা. জামাল উদ্দিন মিন্টু মাদক কারবারির অস্ত্র হামলায় আহত রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার এএসআইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানাধীন সিগারেট কোম্পানি নামক এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক কারবারির দেশীয় অস্ত্র হামলার শিকার হন এএসআই পেয়ারুল ইসলাম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, হারাগাছ থানার এএসআই পেয়ারুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার রাতে সাহেবগঞ্জ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ মাদককারবারি পলাশকে আটক করে। এ সময় আসামি পলাশ পুলিশ কর্মকর্তা পিয়ারুলকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাঁকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তিনি মারা যান।
যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক কারবারি পলাশকে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ওসি শওকত আলী সরকার বলেন, পেয়ারুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের পাড়ামৌলা গ্রামের আব্দুর রহমান মিন্টুর ছেলে। পিয়ারুল ইসলাম ২০১২ সালে পুলিশে যোগদান করেন। তাঁর স্ত্রীসহ দুই সন্তান রয়েছে।