পঞ্চগড় প্রতিনিধি
ঘনকুয়াশার কারণে পঞ্চগড়ের আকাশে গত দুদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। জেলায় বইছে ঠান্ডা বাতাস। এতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। তবে, আজ রোববার সকালে কুয়াশার ফাঁক গলে সূর্যের আলো দেখা গেছে। স্বস্তিতে ফিরেছে মানুষ।
আজ সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায়। গতকাল শনিবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সূর্যের আলো পেয়ে শিশু-কিশোররা মনের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে খেলাধুলায় মেতে ওঠে। মানুষ তাঁদের প্রয়োজনীয় শীতের কাপড়চোপড় রোদে শুকাতে ঘর থেকে বের করে সূর্যের আলোতে দিতে শুরু করে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার গলেহা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম বলেন, গত দুই দিন সূর্যের দেখা ছিল না। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি। একাধিক জামা পরতে হয়েছে শীত নিবারণের জন্য। কাঁথা-বালিশ-লেপ-কম্বল সবকিছু ঠান্ডা ছিল। আজ রোদ ওঠাতে এখন গরম করার জন্য বের করেছি। হাত-পা সবকিছু হিম ছিল এই কয়দিন। সূর্য ওঠাতে এখন ভালো লাগছে।
তালমা এলাকার পাথর শ্রমিক জ্যোৎস্না রানী বলেন, গত দুই দিন খুব ঠান্ডা ছিল। আজকে রোদ উঠেছে ভালো লাগছে। ওই দুই দিন কাজ করতে খুব কষ্ট হইছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, রোববার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গত দুই দিন ঘন কুয়াশায় সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে না পারায় বেশি শীত অনুভূত হয়েছে। আজ সকাল সকাল সূর্য উঠেছে।