নীলফামারীর সৈয়দপুরের রেলওয়ের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছেন রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে অবৈধভাবে দখলকৃত রেলওয়ের ২০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে অভিযানের একপর্যায়ে তামান্না সিনেমা হল তালাবদ্ধ করতে গেলে কাউন্সিলরদের নিয়ে বাধা দেন পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান। পরে উপস্থিত জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে অভিযান শেষ করে চলে যান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের লোকজন।
অভিযানে অবৈধভাবে রেলওয়ের জমি বেদখল করে পাকা অবকাঠোমো তৈরির দায়ে দখলদারদের কাছ থেকে ৮২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর ভুসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান।
রেলের এসব জায়গা দখল করে ঘরববাড়ি নির্মাণ করা হয়। ৫ থেকে ২০ বছর ধরে এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছে। অভিযানে অবৈধ দখলদার সাইফুল ইসলামকে ১০ হাজার, সাইদুর রহমানকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা, মাহবুবুর রহমানের, আখতার হোসেন ও শহিদুল ইসলামের ১৫ হাজার করে, ওয়ালটন শোরুমের ৩০ হাজার এবং মুন্সিপাড়ায় সরকারী কাজে বাধা দেওয়ায় আনিছুর রহমানের ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরে বাধ্য হয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অভিযান স্থগিত করে চলে যান। অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (কারখানা) আহসান উদ্দিন, ভূসম্পত্তি রক্ষনাবেক্ষন অফিসের সহকারী প্রকৌশলী (আই ও ডাব্লিউ) আশরাফুল ইসলাম ও পার্বতীপুর ফিল্ড কানুনগো অফিসের কানুনগো জিয়াউল হক। তাদের সহযোগীতা করেন সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) রিজার্ভ ফোর্স।