কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভারী একটি ধাতব বস্তুকে গুপ্তধন ভেবে ঘরে নেন হামিদুল ইসলাম বাবু (৩৮) নামের এক ব্যক্তি। এরপর গোপনে রাতে সেটি কাটতে শুরু করলে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও বাম পা ঝলসে যায়। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দেওয়ানের খামার গ্রামে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। বাবু পেশায় একজন লেদ মিস্ত্রি।
আহত হামিদুল ইসলাম বাবুকে প্রথমে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতের পরিবার বলছে, বস্তুটি লোহার ছিল এবং অনেক দিনের পুরোনো। সেটি শসা সদৃশ ছিল।
স্থানীয়রা ও পরিবার বলছে, কিছুদিন আগে বাবুর মামা আব্দুল গফুর ওই গ্রামের আজিজ কমান্ডারের বাড়ির পাশে পুকুরের মাটি খননের সময় মাটির নিচে একটি ধাতব বস্তুটি পান। পরে তিনি বস্তুটিকে গুপ্তধন ভেবে গোপনে তাঁর ভাগনে বাবুকে দেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু নিজ বাড়ির রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে, লোহা কাটার যন্ত্র দিয়ে বস্তুটি কেটে গুপ্তধন বের করতে যান। এ সময় বিকট শব্দে সেটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে রান্না ঘরের টিনের বেড়া, লোহার গেট ও বাড়ির পেছনের ফিলিং স্টেশনের সীমানা প্রাচীরে আঘাত করে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোর্শেদুল হাসান (পিপিএম) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বস্তুটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণ ঘটায় বস্তুটির আলামত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। বস্তুটি পরিত্যক্ত মর্টারশেল হতে পারে।’