গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও হত্যার চেষ্টা করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
আজ মঙ্গলবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সদর উপজেলার ত্রিমোহিনী বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
এ ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পিয়ারাপুর উচ্চবিদ্যালয়ে। লাঞ্ছিত হয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিব সুলতান। বর্তমানে শিক্ষক রাজিব সুলতান গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেহেদী হাসান নামের স্থানীয় এক যুবক ও তাঁর সহযোগীরা।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের কারণে সড়কের দুপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বখাটে মেহেদী হাসানসহ তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী মণ্ডল, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুন্সি আ. বারী, সহকারী শিক্ষক রাসেদুল ইসলাম, আবু রায়হান রিপন, পিয়ারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা, পিয়ারাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাপ্পী মিয়া, আঁখি আখতার প্রমুখ।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসানসহ তাঁর সহযোগীরা প্রায়ই বিদ্যালয়ের গেটের সামনে ও রাস্তা–ঘাটে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। বিষয়টি ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানায়। পরে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে মৌখিকভাবে শাসন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এরই জেরে ধরে গতকাল দুপুরে শিক্ষক রাজিব সুলতানকে ত্রিমোহিনী বাজারে একটি চায়ের দোকানের সামনে মেহেদী হাসানসহ তাঁর সহযোগীরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে পালিয়ে যান।