কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে রাস্তা বন্ধ করে ঘর তৈরি করায় ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় অর্ধশত পরিবার। অনেকে যাতায়াত করতে না পারায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনকে জানিয়েও সমাধান হয়নি।
উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের খামার আন্ধারীঝাড় গ্রামের খৈমুদ্দিনের পরিবারের ওপর এই অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝগড়া হয় খৈমুদ্দিনের পরিবারের। এতে ওই পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়দের চলাচলের শত বছরের পুরোনো রাস্তাটি বন্ধ করে সেখানে ঘর তৈরি করেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার বিষয়টির মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযুক্ত পরিবারটি অসম্মতি প্রকাশ করায় প্রায় তিন মাস ধরে রাস্তা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ ও আশাদুল ইসলাম জানান, একটি পরিবারের কারণে প্রায় অর্ধশত পরিবার গৃহবন্দী হয়ে হয়ে পড়েছে। শুধু হাঁটার পথ দিয়ে মানুষ কোনোমতে চলাচল করতে হচ্ছে। বড় ও ভারী জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করা সম্ভব হচ্ছে না।
আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল বলেন, স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন না।
রাস্তা বন্ধের অভিযোগ ওঠা পরিবারটির সদস্য সুরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের বাড়ির উঠান দিয়ে প্রতিবেশীরা চলাচল করতেন। পরিবারের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় জায়গার অভাবে সেখানে উঠানে ঘর তুলতে হয়েছে। আমরা রাস্তা বন্ধ করিনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, রাস্তা বন্ধের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া থানার ওসিকেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিদুল ইসলাম বলেন, ওই ওঠা রাস্তা দিয়ে বহু বছর ধরে চলাচল করছেন মানুষ। রাস্তাটি রেকর্ডভুক্ত নয়। সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলমান রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।