হোম > সারা দেশ > রংপুর

দিনাজপুরে চাহিদা ১১০ মেগাওয়াট, গ্রাহকেরা পাচ্ছেন ৭০

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর শহরের রামনগর এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম। গতকাল সোমবার ব্যক্তিগত কাজ সেরে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বাসায় ফেরেন। বাসার গেটে দাঁড়াতেই চলে যায় বিদ্যুৎ। ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে বাসায় ঢোকোন। গরমে টিকতে না পেরে টিউবওয়েলের ঠান্ডা পানিতে গোসল সেরে বাইরে বসে বিদ্যুতের অপেক্ষা করতে থাকেন। এক ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলে বাসায় গিয়ে রাতের খাওয়া সেরে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিতেই আবারও চলে যায় বিদ্যুৎ। গরমে কাঁদতে থাকা ছোট ছেলেকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে থাকেন।  

শরিফুল বলেন, ‘দিনে-রাতে মিলে কমপক্ষে ৬-৭ বার লোডশেডিং হচ্ছে। একে তো দিনের গরমে শরীর খুব ক্লান্ত হয়ে যায়, রাতেও যদি বিদ্যুৎ না পাই তাহলে ঘুম হয় কী করে?’ এমন দুর্ভোগ শুধু শরিফুল ইসলামের নয়, জেলার সর্বত্র এই চিত্র। 

দিনাজপুরের ওপর দিয়ে এক সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দাবদাহে কাবু হয়ে গেছে এখানকার মানুষ। গত কয়েক দিন তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। একটু শীতল বাতাসের জন্য সবাই এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 

সদর উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার নির্মাণশ্রমিক আবুল হোসেন বলেন, ‘গ্রামে বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। গতকাল রাত ১০টায় কারেন্ট চলে গেছে। আসে রাত ৩টায়। ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেছি। আবার কখন জানি চলে গেছে, ভোরে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি ঘামে শরীর ভিজে গেছে।’ 

এদিকে আজ মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার ছিল ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত ১ জুন ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি (জুন) মাসের ১ তারিখে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে। আর ৪ জুন ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

এ সময় তিনি আরও জানান, এর আগে ১৯৫৮ সালের ৩ জুন দিনাজপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৬৫ বছর পরে আবারও দিনাজপুর তীব্র দাবদাহের কবলে পড়েছে। 

দিনাজপুর নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড সূত্র জানায়, ডিভিশন-১ বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সেখানে সরবরাহ ১৩ মেগাওয়াট। ডিভিশন-২-এ চাহিদা ২৮ মেগাওয়াট, সেখানে সরবরাহ সাড়ে ১৬ মেগাওয়াট। অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সূত্র জানায়, তাদের দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১০০ থেকে ১১০ মেগাওয়াট। সেখানে তাঁরা পাচ্ছেন ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট। 

দিনাজপুর নেসকো-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান জানান, ১৯ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সরবরাহ পেয়েছেন ১৩ মেগাওয়াট। ১২টি ফিডারে প্রতিবার ১ ঘণ্টা করে ২৪ ঘণ্টায় ৭ ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।

আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়া দেখে অজ্ঞান, হাসপাতালে ভর্তি

স্ত্রীদের নিয়ে ছেলেরা পেটালেন বৃদ্ধ মাকে, ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ

রংপুরে পুলিশের উপকমিশনারের পক্ষে চাঁদা দাবি, অমিত বণিক দুই দিনের রিমান্ডে

অবসর সুবিধার নামে ঘুষ, উপজেলার দুই কর্মকর্তা আটক

ভিজিএফের চাল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

কুড়িগ্রামে ভিজিএফের চাল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৯

গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর

নীলফামারীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পুরো উপজেলায় টিসিবি বন্ধ কার্ড জটিলতায়

৩৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের