দফায় দফায় যোগাযোগ ও সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম ও পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির দ্বন্দ্ব আপাতত মীমাংসা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমঝোতা বৈঠকের পর কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এসব তথ্য আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আপাতত সুরাহা হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সব পক্ষকে নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কুড়িগ্রাম থেকে সব ধরনের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় কুড়িগ্রাম জেলা মোটরমালিক সমিতি ও মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে সাময়িক এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। তারা শহরের প্রবেশদ্বারে সড়কের ওপর বাস আড়াআড়ি রেখে সব ধরনের যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগের পর রাত ১১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা মোটরমালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক রায়হান কবির জানান, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির একটি গাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে চলাচলের সুযোগ দাবিকে কেন্দ্র করে পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতি কুড়িগ্রামের সব দূরপাল্লার বাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিল। তারা কুড়িগ্রাম মোটর শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছিলেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সড়ক অবরোধ করে কুড়িগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ, রংপুর রেঞ্জ এবং গাইবান্ধা পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছায়। গতকাল রাত ১১টা থেকে কুড়িগ্রাম থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
‘কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে। তিনি সকল পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করেছেন। পলাশবাড়ী মোটর মালিক সমিতির গাড়ি কুড়িগ্রামে যাতায়াত করবে না মর্মে আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে। উভয় পক্ষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছায়’-সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রায়হান কবির এসব কথা বলেন।