ঈদুল ফিতর আসতে আরও কয়েক দিন সময় বাকি থাকলেও এরই মধ্যে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। এবারে দাম বাড়ার তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে রসুনের নাম। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা করে। দুদিন আগে প্রতি কেজি রসুন ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তবে সরবরাহ কমের কারণে রসুনের দাম বাড়তি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাজারে কোন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই যে যার মতো যখন যেভাবে পারছে জিনিসপত্রের বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছে। একেতো রমজান মাসের কারণে বাড়তি খরচের জোগান দিতে আমাদের মতো মানুষদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ওপর বাজারে প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে যার কারণে আমাদের মতো মানুষদের চলা একেবারেই অসম্ভব বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুদিন আগে বাজার থেকে যে রসুন কিনলাম ৩০ টাকা কেজি দরে সেই রসুন এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। যেই দেখেছে ঈদ ঘনিয়ে আসছে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি রয়েছে সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরা রসুনের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে।’
হিলি বাজারের রসুন বিক্রেতা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন পূর্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হিলি বাজারে রসুন আসত, যার কারণে বাজারে আমদানি বেশি হতো এবং দাম কম ছিল, দিনদিন রসুনের সরবরাহ কমে আসার কারণে বাজার এখন বাড়তির দিকে, দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি রসুনের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, তিন চার দিন আগে হিলি বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, ‘তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ে কেউ যেন কোন ধরনের কারসাজি করতে না পারে বা এ জন্য বাজারে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে মূল্যতালিকা না টাঙানোয় ও বাড়তি মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে বেশ কয়েকটি দোকানকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।’