ঘাড় মটকে দিতে চাওয়ায় লালমনিরহাট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে শোকজ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান লালমনিরহাট সহকারী জেলা ও দায়রা জজ মো. তাহমীদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মন্ত্রীকে শোকজ করা হয়।
এর আগে গত সোমবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মর্তুজা হানিফ। হানিফ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি লালমনিরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হকের (ঈগল প্রতীক) নির্বাচনী সমর্থক।
গোলাম মর্তুজা হানিফ তাঁর অভিযোগে বলেন, ২৩ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে বলতে শোনা যায়, ‘সেদিন ভুল্যারহাটে মিটিংয়ে গোলাম মর্তুজা হানিফ যে বাজে কথা বলেছে, তাকে সতর্ক করে দিচ্ছি। এই ধরনের বাজে কথা যদি আর কোনো দিন বলো, তোমার ঘাড় মটকে দেব। তুমি এখনো লোক চেনো না।’
অভিযোগে বলা হয়, ‘বিষয়টি আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি করেছে। যেকোনো সময় আমি বা আমার সম্পদের ওপর হামলার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এমনি ঘাড় মটকে দেওয়ার হুমকির মাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের প্রকাশ্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোলাম মর্তুজা হানিফ। অভিযোগ আমলে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা পরদিনই তা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে পাঠান।
শোকজে আদালত উল্লেখ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদ অভিযোগকারীকে ঘাড় মটকানোর মাধ্যমে বাদীর প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। যা নির্বাচন আচরণবিধির ১১ (ক) ধারার লঙ্ঘন। তাই নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে কেন অনুসন্ধান করে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে না, তা ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগটি আমরা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছি। তাঁরা বিধিমতো ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’