নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনার উদ্ধারকাজে গিয়ে গ্রামবাসীর হামলায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের লক্ষ্মীরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই তিনজনের নাম উল্লেখসহ দুই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এতে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের লক্ষ্মীরবাজার এলাকায় মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন মোটরসাইকেলচালক খোকসাবাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫)। তিনি মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বেলতলী এলাকার ঢেঁকিয়াবাড়ী গ্রামের নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ঘটনার পর এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক্টরটি জব্দ করে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামের লোকজন বাধা দেয়। এ সময় তারা ট্রাক্টরে আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ ঘটনার জেরে বিকেল ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে ট্রাক্টরে মাটি তোলার কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু মেশিনে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে দ্বিতীয় দফায় পুলিশের ওপর চড়াও হয় গ্রামবাসী। তারা পুলিশ ভ্যানের পথ রোধ করে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাঁদের (পুলিশ সদস্য) উদ্ধার করে পাঁচজনকে নীলফামারী জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করান। অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।