পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীর আওলিয়ার ঘাটে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক নৌকাডুবি ঘটনার ৪৫ দিন পর আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পাথর শ্রমিকেরা। আজ বুধবার দুপুরে মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি হলেন ভূপেন্দ্রনাথ রায় পানিয়া (৪৪)। তিনি দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্র শিকারপুর গ্রামের মদন কুমার রায়ের ছেলে। বিষয়টি পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায় নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে উদ্ধার হওয়া মরদেহর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায় বলেন, ‘আজ দুপুরে স্থানীয় কয়েক জন শ্রমিক করতোয়া নদীর আওলিয়ার ঘাটে পাথর ও বালি তুলছিলেন। পাথর তোলার যন্ত্রে মরদেহটি বালুর ভেতর থেকে ওপরে উঠে আসে। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও নিখোঁজ পরিবারগুলোকে খবর দেওয়া হয়। পড়নের পোশাক এবং মোবাইল ফোন দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনেরা। মরদেহ উদ্ধার করা শ্রমিকেরা বলছেন, মরদেহটি বালুর নিচে ছিল বলে ৪৪ দিনেও পুরোপুরি গলে যায়নি।’
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সলেমান আলী বলেন, ‘মৃত ৭২ জনের মধ্যে ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। নিখোঁজ ছিলেন ৩ জন। তিনজনের মধ্যে একজন যুবক, একজন বৃদ্ধ এবং একজন শিশু ছিল। আজ একজনের মরদেহ ৪৫ দিন পর উদ্ধার হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী এখনো আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে মহালয়া উপলক্ষে বদেশ্বরী মন্দিরে যাওয়ার সময় করতোয়া নদীর আওলিয়ার ঘাটে শতাধিক পুণ্যার্থী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। সেখানে ৭২ জনের নিহত হয়। এখনো যারা নিখোঁজ আছেন তাঁরা হলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার সাকোয়া ডাঙ্গাপাড়ার সুরেন্দ্রনাথ (৬৫) এবং বোদার ঘাটিয়ার পাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথের শিশুকন্যা জয়া রানী (৪)।