যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবিতে রংপুরের তারাগঞ্জের ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডে দেড় ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডে আজ শনিবার রাত ৯টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা (১১টা) পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে স্থানীয় লোকজন। এতে করে সড়কে দুই পাশে শত শত যান বাহন আটকা পড়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় অন্তত ৩০ জন লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাগঞ্জের ইকরচালী বাজারের ওপর দিয়ে চলে গেছে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। ইকরচালী থেকে রংপুরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাত্রীবাহী বাসগুলো দিনাজপুর থেকে আসার পথে রংপুরের যাত্রী ওঠালেও রংপুর মেডিকেল মোড়ে বামনদীঘি, ইকরচালী, তারাগঞ্জ, চিকলীর যাত্রীদের ওঠাতে চায় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও এসব এলাকার লোকজন বাসে উঠতে পারেন না। জোরজবরদস্তি করে উঠলেও চালক ও বাসের সুপারভাইজারের খারাপ আচরণ করেন।
এ নিয়ে সরকার পতনের পর দুইবার মহাসড়ক অবরোধ করলে জেলা প্রশাসক, ইউএনও, বিআরটিএর কর্মকর্তারা ইকরচালী তারাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সকল লোকাল বাসে যাত্রী উঠানামার আশ্বাস দেন। কিন্তু ১৫ দিন না যেতেই ফের রংপুর মেডিকেল মোড়ে বামনদীঘি, ইকরচালী, তারাগঞ্জ ও চিকলী বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীদের নেওয়া বন্ধ করে দেয় বাসগুলো। গতকাল শিমু শাহেদ পরিবহনের একটি বাস সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর মেডিকেল মোড়ে তারাগঞ্জের আউয়াল ও ইকরচালীর মেনকা বেগম, শাহরিয়ার রহমানকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
আরেক ভুক্তভোগী যাত্রী শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসার জন্য বাস উঠতে যাই। কিন্তু কোনো বাস আমাদের নেয়নি। ইকরচালীর কথা শুনলেই বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। আমরা এর আগেও এ জন্য আন্দোলন করেছি। আজ আমার মা ও আমার সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করলে এলাকায় খবর দিই। আমরা এর একটা বিহিত চাই।’
ইকরচালী এলাকার শিক্ষার্থী নাঈম ইসলাম বলেন, ‘গত মাসেও প্রশাসন ও বিআরটিএর পক্ষ থেকে যাত্রী নেওয়ার জন্য বাসগুলোকে বলেছিল। ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানোর জন্য জরিমানাও করা হয়েছে। তবুও বাস এখানে দাঁড়াচ্ছে না। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষ বাস সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটার সমাধান হওয়া জরুরি।’
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।’