দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) থেকেই উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন হাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বেলা ২টায় এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘দাবি মোদের একটাই, ক্যাম্পাস থেকে ভিসি চাই’, ‘ক্যাম্পাস থেকে ভিসি দিতে হবে দিতে হবে’, ‘বাইরের ভিসি আসলে, তালা ঝুলবে গেটে’ এমন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত দিনে হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইরের ভিসি ছিলেন। তাঁর কাছাকাছি সাধারণ শিক্ষার্থী এমনকি অনেক শিক্ষকও পৌঁছাতে পারতেন না ৷ আমরা একজন শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি চাই ৷ এ ব্যাপারে আমরা অনড়। এজন্য আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভিসি চাই।
মানববন্ধনে বলা হয়, বিগত সময়ে যারা বাইরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে এসেছিলেন তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। কারণ বাইরে থেকে যারা আসেন তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তেমনটা অবগত থাকেন না। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও পরিবেশ বুঝে উঠতেই তাদের পুরোটা সময় চলে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ হলে তিনি আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত থাকবেন। যার কারণে উপাচার্য সহজেই দ্রুততার সঙ্গে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাখাওয়াত উল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের চলার পথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষক জ্ঞানে গরিমায় সেরা, তাকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক। যার কাছে আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারব। বিগত সময় বাইরে থেকে নিয়োগ পাওয়া ভিসি কারুজ্জামানের কাছে আমরা আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরতে পারিনি, তিনি আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরার সুযোগও দেননি।’
উল্লেখ্য, হাবিপ্রবিতে বাইরে থেকে দায়িত্ব পাওয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মোতাহার হোসেন মন্ডল যোগদানের ছয় মাসের মাথায় ২০০৭ সালের ২১ এপ্রিল পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মেয়াদ পূর্তির কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
সর্বশেষ গত ৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান পদত্যাগ করে যাওয়ার সময় ছাত্রদের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
মানববন্ধনে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।