গাইবান্ধার ফুলছড়িতে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। এতে নদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শাকসবজিসহ ১৯২ হেক্টর আমন ধানের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলন নিয়ে কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ফুলছড়ি তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, আগামী তিন-চার দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।
এদিকে পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের গলনা, জিয়াডাঙ্গা, ঝানঝাইর, ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া, গাবগাছী, জামিরা, কালুরপাড়া, ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারী, বাজেতেলকুপি, কুচখালী, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের হরিচণ্ডী, উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনা, কাবিলপুর, মধ্য উড়িয়া, রতনপুর গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকায় শাক-সবজিসহ সদ্য রোপিত আমনের খেত তলিয়ে গেছে।
ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। কিছু কিছু এলাকায় আমনের খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি না কমলে কৃষকেরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিন্টু মিয়া বলেন, সদ্য রোপিত ১৯২ হেক্টর আমনের খেত আংশিক পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।