লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর শবে কদর, মে দিবস, পবিত্র ঈদ-উল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৭ দিন বন্ধ থাকবে। এ সময় সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর উভয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, আগামী শনিবার পবিত্র শবে কদর, রোববার মে দিবস ও মঙ্গলবার (সম্ভাব্য) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখবে। এ কারণে ৭ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর। তবে পুলিশ অভিবাসন চৌকি খোলা থাকবে। পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচলও স্বাভাবিক থাকবে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন জানায়, শবে কদর, মে দিবস ও ঈদ উপলক্ষে আগামী শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয় দিন এবং শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৭ দিন আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন (কাস্টমস কর্তৃপক্ষ), বন্দর কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, বুড়িমারী বিজিবি কমান্ডার, লালমনিরহাট চেম্বার অফ কমার্স, পুলিশ ইমিগ্রেশন ও ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমস, চ্যাংরাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন এবং ভুটান এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া হয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এ পথ দিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান ছায়েদ বলেন, ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত এবং ইস্যুকৃত চিঠি অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটিসহ (শুক্রবার) ৭ দিন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরবর্তীতে শনিবার (৭ মে) থেকে যথানিয়মে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করা হবে।
এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমস সহকারী কমিশনার (এসি) জে এম আলী আহসান বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কাস্টমস কার্যালয় খোলা থাকবে। তবে ব্যবসায়ী ও পরিবহনে নিযুক্ত ব্যক্তিরা আমদানি-রপ্তানি না করলে বন্দরের কার্যক্রম এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়।