দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে সেপটিক ট্যাংকে জমে থাকা গ্যাসের বিষক্রিয়ায় সাইদুর ইসলাম (৪০) ও বাবুদ হোসেন (৩০) নামে দুজন ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের নখৈর গ্রামের মহির উদ্দিন পোনাতির বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুর ইসলাম উপজেলার নখৈর বানিয়াপাড়ার বাপুই ইসলামের ছেলে এবং বাবুদ হোসেন একই এলাকার তাহের হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছে, কিছুদিন আগে মহির উদ্দিন পোনাতির বাড়িতে বাথরুমের একটি নতুন সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকাজ শেষ হলে বাঁশের সাটারিং খুলতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢোকেন রাজমিস্ত্রি আলতাব হোসেন (৪০)। কিন্তু সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে রাজমিস্ত্রি আলতাব হোসেন ভেতরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে নিচ থেকে তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চিৎকার শুরু করেন তাঁর সহযোগী।
পরে পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়া দুই ভ্যানচালক সাইদুর ও বাবুদ সেখানে ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে নিচে নামেন। এ সময় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা গ্যাসের বিষক্রিয়ায় তাঁরাও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে আশপাশে থাকা আরও লোকজন ও রাস্তার পথচারীরা দৌড়ে এসে তাঁদের তিনজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ে ভ্যানচালক সাইদুর ও বাবুদ রাস্তায় মারা যান। অন্যদিকে রাজমিস্ত্রি আলতাব হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় মৃত দুই ভ্যানচালকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।