রংপুরের বদরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও করার অভিযোগে পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা করেন স্কুলছাত্রীর বাবা। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কান্তি মালী (৪৫) ও আনিছুল হক (২৬)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার গোপীনাথপুরে।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় চারজনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আমরা প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। অন্য দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
থানায় দায়ের করা মামলা থেকে জানা গেছে, শিশুটির বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায়। মা-বাবা তাকে নানার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় রেখে কাজের সন্ধানে ঢাকায় যান। সেখানে তাঁরা শ্রমিকের কাজ করেন। গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে শিশুটি নানার বাড়ির পাশে বাছুর আনতে যায়। এ সময় কান্তি মালী শিশুটিকে ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও করের রবিউল ইসলাম পটল। পরে রবিউলও ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। তার ধর্ষণের ভিডিও করেন সঙ্গে থাকা নগেন দাশ (৪০) নামের এক ব্যক্তি। এরপর বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিওটি প্রচার করার হুমকি দেন তাঁরা।
শিশুটি বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার নানিকে খুলে বলে। এরপর মামলা না করতে রবিউল, আনিছুল হক ও মিলন মিয়া শিশুটির নানার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন। পরে হুমকিদাতা তিনজনসহ নগেন ও কান্তিকে আসামি করে মামলা হয় বলে জানায় পুলিশ।