পঞ্চগড় প্রতিনিধি
ফাইরুজ আনিকা ওয়াশেমা প্রিনন (৩৩) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। বাবা আব্দুল আজিজ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান। সাবেক সরকারের সময় রাজনৈতিক কারণে ৩৯ তম বিসিএসে (স্বাস্থ্য) উত্তীর্ণ হয়েও পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি তিনি। পাঁচ বছর পর ২০২৪ সালে ২ জুলাই নিজ উপজেলায় সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেন। এর আড়াই মাস পর আত্মহত্যা করলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে দরজা ভেঙে ফাইরুজের গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। তাঁর নিথর দেহ দ্রুত বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও বিষণ্নতা থেকে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তাঁর সহকর্মী চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু বলেন, ‘ফাইরুজ আমার বান্ধবী। সে ৩৯ তম বিসিএসে স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের নেতিবাচক প্রতিবেদনের কারণে স্বপ্নের চাকরি পেয়েও যোগ দিতে পারেননি এত বছর।’
তিনি বলেন, ‘ফাইরুজের নামে কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু তাঁর বাবার রাজনীতির কারণে তাঁর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত গেজেটে নিজের নাম না দেখে ভেঙে পড়ে ফাইরুজ। পাঁচ বছর পর ২০২৪ সালে ২ জুলাই নিজ উপজেলায় সহকারী সার্জন হিসেবে যোগ দেয়। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা এখনো নিশ্চিত নই।’
এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মৃত চিকিৎসকের গলায় ফাঁসের চিহ্ন পেয়েছি। পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও ডিপ্রেশনের কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে আমরা ধারণা করছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং তাঁদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’