কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এই ঘটনার পর অনৈতিকভাবে টাকা দিতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ধমক খেয়েছেন মাদ্রাসা সুপার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনওর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অনৈতিকভাবে টাকা দিতে যাওয়ার অভিযোগ ওঠা সুপারের নাম মো. সাইদুর রহমান। তিনি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার। এই ঘটনায় ইউএনও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। ইউএনও মো. গোলাম ফেরদৌস এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার কার্যালয়ে আসেন। সেখানে তিনি ইউএনওকে টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে সুপারকে ধমক দেন।
এ ছাড়া মাদ্রাসা সুপারকে আটক করতে অফিস স্টাফদের নিজের কক্ষে ডাকেন ইউএনও। স্টাফরা কক্ষে আসার আগেই সুপার টাকা নিয়ে দৌড়ে কক্ষ ত্যাগ করেন বলে ইউএনওর কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানান।
টাকা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. সাইদুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হয়। তিনি কল ধরেননি।
ইউএনও মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, ‘কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর অনৈতিকভাবে তিনি আমাকে টাকা দিতে চেয়েছেন। তাঁকে ধমক দিলে দ্রুত সটকে পড়েন।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাত আঙ্গারীয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপারের নামে থানায় জিডি করেছেন।