রংপুরের তারাগঞ্জে যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে আহত নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা অলিউল হাসান জুয়েল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ ভোর সাড়ে ৫টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এদিকে অলিউলের বাড়িতে চলছে মাতম। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা তাঁর মা উম্মে হাবিবা কুলসুম। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেই ছিলেন তাঁর বেঁচে থাকার অবলম্বন। তাঁর আহাজারিতে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর আদানীর মোড় এলাকার বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে দুই বাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন অলিউল। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে।
অলিউল সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর আদানী মোড় এলাকার মৃত মঞ্জু সরকারের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও কামারপুকুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দিনাজপুর শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন প্যারামেডিকেলে পড়াশোনা করে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে তাসিন ও রেখা এন্টারপ্রাইজ কাউন্টারে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
অলিউলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর মা আহাজারি করছেন। অলিউল নিহত হওয়ার খবরে তাঁদের বাড়িতে ভিড় করেছেন পাড়া-প্রতিবেশী, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
আজ সোমবার বাদ আসর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অলিউলের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় হাতিখানা কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের তারাগঞ্জের শলেয়াশাহ খারুভাজ সেতুর কাছে জোয়ানা পরিবহনের সঙ্গে ইসলাম পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজন মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।