লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় মিলেছে। লাশটি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার জোসনা বেগমের (১৮)।
জোসনা বেগম নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর মেয়ে। একই এলাকার চাপানি গ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুরে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে থানা–পুলিশ। এর আগে রোববার সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদ্রাসা এলাকায় নদীর চর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, ২০ দিন আগে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় জোসনার। গত শুক্রবার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন তিনি। ওই দিন বিকেলে সেখান থেকে নিখোঁজ হন জোসনা বেগম। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় অপহরণ মামলা করেন তাঁর পরিবার।
এদিকে গতকাল সকালে মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদ্রাসা এলাকায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে ভেসে আসা কিশোরীর লাশ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকেরা। মেহেদিরাঙা হাতে ‘আই লাভ ইউ’ লেখা এবং দুই হাত ওড়না দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা, মুখ ঝলসানো।
খবর পেয়ে আজ সোমবার সকালে জোসনার পরিবার এসে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল থেকে লাশ শনাক্ত করে। এরপর ডিমলা থানায় মামলা থাকায় মরদেহ সংশ্লিষ্ট থানা–পুলিশের উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, জোসনার বাবা জহর আলী তাঁর মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলা থাকায় নতুন করে মামলা করা হয়নি। তবে আগের মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট থানা। লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।