ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে কৃষি জমির টপ সয়েল (উর্বর মাটি) কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে। ইট প্রস্তুতের জন্য বিভিন্ন কৃষি জমি থেকে নেওয়া এসব মাটি স্তূপ করা ইটভাটাগুলোতে।
আজ মঙ্গলবার উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের আর এম এস ইট ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, তাদের ইটভাটার পূর্ব দিকে সমুন নামে এক ব্যক্তির এক একর জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। ২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় জমির মাটি ইটভাটাকে দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মাটি কাটা কয়েকজন শ্রমিক বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে এখানে মাটি কেটে ট্রলিতে করে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ৩ ফুট মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি কেটে নেওয়ার পর পরিত্যক্ত জমিটি ইটভাটার কাজে ব্যবহার করা হবে।
এদিকে জমির মালিক সুমনের সঙ্গে কথা বলতে মহেশপুর গ্রামেই তার বাড়িতে গেলে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা আসমা খাতুন বলেছেন, ভাটার কাছেই জমি, আশপাশের সব জমি ভাটা নিয়ে মাটি কেটে নিয়েছে। এ কারণে তাঁদের জমিটা উঁচু হয়ে আছে। ফসল হয় না তা ছাড়া ঠিকমতো পানি ও সেচ দেওয়া যায় না। বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাধ্য হয়ে ইটভাটায় জমি দিতে হয়েছে।
আর এম এস ইটভাটার স্বত্বাধিকারী আবু সুলতান বলেন, ‘কৃষক জমির মাটি বিক্রি করেছে তাই কিনেছি। জোর করে তো আর মাটি কাটছি না।’
জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ২৬টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার আশপাশের মাটিতে ইটভাটার কারণে ঠিকমতো চাষাবাদ হয় না। তা ছাড়া ইটভাটার আশপাশের জমিগুলো নেওয়ার জন্য ইটভাটার মালিকেরা ফন্দি পেতে থাকে। মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে জমিগুলো বাৎসরিক চুক্তিতে নিয়ে নেয় ভাটার মালিকেরা। জমি নেওয়ার পরে সেখান থেকে মাটি কেটে নেয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ইট ভাটার কারণে কৃষি জমি কমছে। উপজেলার প্রায় ১০০ একর কৃষি জমি ইটভাটার মধ্যে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।