রংপুর প্রতিনিধি
ষষ্ঠ পর্যায়ের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিছুর রহমান লিটন ১৬ হাজার ৫৪৯ ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শাহিনুর ইসলাম মার্শালকে পরাজিত করে টানা তৃতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রুবেল রানা। আজ বুধবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে তাঁকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুজন প্রার্থীর মধ্যে আনিছুর রহমান লিটন দোয়াত কলম প্রতীকে ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তারাগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শাহিনুর ইসলাম মার্শাল মোটরসাইকেল প্রতীকে ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়েছেন। এর আগের ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং ২০১৪ সালে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে গ্যাস সিলিন্ডার প্রতীকে খাইরুল ইসলাম ১৫ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হোন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কবিরুল ইসলাম তালা প্রতীকে ১২ হাজার ৩১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এ উপজেলা ফুটবল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতেমা তুজ জোহরা হাঁস প্রতীকে ১৪ হাজার ৬২১ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের পরিবেশ ছিল সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। অনেক লাঠিতে ভর করে, কোলে চড়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপজেলার ৫৫টি ভোটকেন্দ্রের অধিকাংশ কেন্দ্রর ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রুবেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারাগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। এখানে ৫৯ পারসেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
উল্লেখ্য, তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ২২২ জন।