দিনাজপুর প্রতিনিধি
১৭ বছরে দেশে গমের ব্যবহার বেড়েছে ১৪২ শতাংশ, অন্যদিকে চালের ব্যবহার কমেছে ২২ শতাংশ। কিন্তু গমের ব্যবহার বাড়লেও এর উৎপাদন ক্রমাগত কমছে। এ কারণে গম উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা নিরূপণ ও উত্তরণের উপায় অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।
আজ শনিবার দিনাজপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আব্দুর রাজ্জাক মিলনায়তনে এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে গমের টেকসই উৎপাদন: প্রতিবন্ধকতা উত্তরণে প্রস্তাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী।
ড. গোলাম ফারুক সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান মণ্ডল, দিনাজপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হামিদুর রহমান প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সিদ্দিকুন নবী মণ্ডল।
প্রধান অতিথি ড. মলয় চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের কৃষকেরা ফসল উৎপাদনে অভিজ্ঞ। ফসল উৎপাদনে আমাদের বিজ্ঞানীদের যে জ্ঞান, অনেক ক্ষেত্রে কৃষকেরা তার থেকে অনেক বেশি জ্ঞান রাখেন। সুতরাং মাঠ পর্যায়ে যার যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে, সেগুলো তুলে এনে সমন্বয় করে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
এ সময় রংপুর বিভাগের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তা ছাড়াও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।