আসন্ন ঈদুল ফিতরের খুশির জোয়ারে ভাসবে চারদিক। আর এই ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারগুলো এখন জমজমাট। শহরের বিভিন্ন পোশাকের দোকানে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা।
পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি হলেও জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি ও প্যান্টের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের কমতি নেই। বাহারি রং আর নকশার পোশাকে সেজেছে দোকানগুলো। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের পোশাক খুঁজে নিতে ব্যস্ত।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শহরের শাহপাড়ার গৃহিণী রিক্তা বলেন, ‘ঈদের কিছুদিন বাকি থাকলেও দাম কম পাওয়ার আশায় আগেভাগে এসেছি। মেয়ের জন্য জামা ও জুতা কিনেছি।’
জমিদারপাড়া মহল্লার রেশমা আক্তার জানান, অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের কাপড়ের দাম পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার তুলনায় কিছুটা বেশি।
রিক্তা আক্তার নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করতে এসে খুব ভালো লাগছে। তবে কাপড়ের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।’
এক দোকানের স্বত্বাধিকারী আসলাম জানান, দিন যত যাচ্ছে, ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। অনেকে দাম কিছুটা কম পাওয়ার আশায় ঈদের আগেভাগে মার্কেটে আসছেন। এ বছর টি-শার্ট, সুতির পাঞ্জাবি ও জিনসের প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে; পাশাপাশি নারীদের শাড়ি ও মেয়েদের বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শপিং মলগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।