দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারপতি, হাবিপ্রবি ভিসি ও জাতীয় সংসদের হুইপসহ ১০৫ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার কোতোয়ালি থানায় মো. রিয়াদ নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ এফ এম মনিরুজ্জামান মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সরকার পতনের পর সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলায় দায়ের করা হয়। এর একটিতে সাবেক বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমকেও আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, তাঁর ছোট ভাই সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর রুহুল আমীন, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, বীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসাইন বিপু, ইউপি চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, মমিনুল ইসলাম, মো. রানা, আতাউর রহমান, জর্জিস সোহেল, মোস্তফা কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফুজ্জামান, বিশ্বজিৎ ঘোষ, ফরিদুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, শেখ বাদশা, তৈয়ব আলী চৌধুরী, আহসানুল হক মুকুল, যুবলীগ নেতা রাশেদ পারভেজ, আনোয়ার হোসেন, আহসানুল হক, রাফায়েত হক প্রমুখ।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেয়। দুপুরের দিকে মিছিলটি জিলা স্কুলের সামনে থেকে কোর্ট এলাকায় যাওয়ার সময় ইকবালুর রহিম ও তাঁর ভাই ইনায়েতুর রহিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় আওয়ামী লীগের লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করেন।
হামলাকারীদের হাতে পিস্তল, রিভলবার, হাঁসিয়া, একনলা-দোনলা বন্দুকসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। অস্ত্রধারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এ সময় মামলার বাদী রিয়াদসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিউল ইসলাম রাহুল নামে একজনের মৃত্যু হয়।