নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৩ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীর গর্ভবতী হওয়ার ভুল রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় ওই হাসপাতাল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এ রায় দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অংশ হিসেবে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ ও ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। সেই শর্তগুলো পূরণের পর অনুমতি সাপেক্ষে পুনরায় তারা ক্লিনিকটি চালু করতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে ক্লিনিকটিতে পেটের ব্যথার চিকিৎসার জন্য ১৩ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রী গেলে চিকিৎসক তাঁকে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করতে বলেন। ওই ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করে কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। সন্দেহ হলে স্বজনেরা অন্য দুটি ক্লিনিকে গিয়ে একই পরীক্ষা করান। সেখানে তারা জানতে পারেন, ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা নয়। এতে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অবরোধ করেন।